বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যৌতুকের টাকা পরিশোধ না করায় জনি খাতুন (২৫) নামে এক নববধূকে ব্লেড দিয়ে কেটে জখম করেছে তার স্বামী আইয়ুব আলী (২৯)।
রোববার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনার পর জনিকে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন তার স্বজনরা। সে ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ি ইউনিয়নের জোড়খালী গ্রামের জহুরুল ইসলামের মেয়ে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জনি খাতুন জানান, প্রায় এক বছর আগে একই এলাকার বড়বিলা গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে আইয়ুব আলীর সঙ্গে বিয়ে হয় তার। বিয়ের সময় ৩০ হাজার টাকা যৌতুক দেয়ার কথা ছিল। তবে বিয়ের অনুষ্ঠানে ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করে স্বামীর বাড়িতে যান তিনি। বরপক্ষের সঙ্গে কথা ছিল ছয় মাসের মধ্যে যৌতুকের বাকি ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হবে।
কিন্তু তার দরিদ্র পরিবারের পক্ষে সময় মতো যৌতুকের টাকা পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ হয়। এ অবস্থায় স্বামী-স্ত্রী দুজনই জীবিকার তাগিদে ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। সেই সুবাদে হেমায়েতপুর এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যৌতুকের টাকা নিয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে জনিকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও ব্লেড দিয়ে কেটে ক্ষতবিক্ষত ও ঘুষি মেরে একটি দাঁত ভেঙে দেয় তার স্বামী। এরপর তাকে ভাড়া বাসায় তালাবদ্ধ করে রাখেন আইয়ুব আলী। পরে দুদিন পর খবর পেয়ে তালাবদ্ধ বাড়ি থেকে জনিকে উদ্ধার করে গ্রামে নিয়ে এসে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্বজনরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনির স্বামী আইয়ুব আলী বলেন, স্ত্রীর অপরাধ ছিল তাই তাকে শাসন করেছি।
ধুনট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত, ওসি) ফারুকুল ইসলাম জানান, স্বামীর নির্যাতনের শিকার নববধূর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার বিষয়টি শুনেছি। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।